OrdinaryITPostAd

লেটুস পাতা খেলে কি হয় -লেটুস পাতা খাওয়ার সঠিক নিয়ম

 লেটুস পাতায় প্রচুর পরিমাণে আইরন আছে । ফলে হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর ক্ষেত্রে লেটুস পাতা একটি উপকারী সবজি হিসেবে কাজ করে । বর্তমানে আমরা অনেকেই এই সবজি সম্পর্কে জানি । কিন্তু লেটুস পাতা খেলে কি হয় , এর পুষ্টি গুনাগুন , উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে অজানা । এই পোস্টের মাধ্যমে লেটুস পাতা সম্পর্কে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করব।

ছবি

লেটুস পাতায় আইরন এবং হিমোগ্লোবিন থাকায় যারা অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতায় ভুগছে তাদের জন্য লেটুস পাতা হতে পারে একটি আদর্শ খাবার ।এটি বিভিন্ন খাবারের সাথে খাওয়া যায়। লেটুস পাতায় রয়েছে অনেক পুষ্টি গুন ।এছাড়াও আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় কার্যকারিতা সম্পন্ন করে থাকে ।

পোস্ট সূচিপএঃ

লেটুস পাতার পুষ্টি গুনাগুন এবং উপকারিতা 

লেটুস পাতা আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী একটি সবজি । এটি একটি আঁশযুক্ত সবজি। এতে  অল্প পরিমাণে কোলেস্টেরল বিদ্যমান রয়েছে। । লেটুস পাতা হৃদযন্ত্রের  জন্য উপকারি । এছাড়াও কিডনির সমস্যার জন্য যেসব রোগীদের প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায় তাদের জন্য লেটুস পাতা ভীষণ উপকারি। এই পাতাতে রয়েছে সোডিয়াম, বি থ্রি, বি টু,  বি ওয়ান যেগুলো শরীরের যেকোনো জায়গায় পানি জমে যাওয়া রোধ করে । লেটুস পাতায় রয়েছে এক ধরনের পানি । এই পানি রক্তে লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা , অনুচক্রিকা ও অন্যান্য উপাদানকে সুস্থ সবল রাখে । এতে পানির পরিমাণ বেশি হওয়ার জন্য মোটা ব্যক্তিদের চর্বি এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে । তাকে কোথাও কেটে গেলে এই পাতা বেটে সেই ব্যথাস্থানে লাগালে ব্যথা ভালো হয়। 

এছাড়াও গর্ভবতী মায়েরা কাঁচা লেটুস পাতা খেলে মা ও শিশু উভয়ে শরীরের রক্ত বৃদ্ধি পায়। লেটুস পাতায় রয়েছে আয়রন যা নারীদের ঋতু চলাকালে যে রক্ত বের হয়ে যায় হয় সে সময় আইরনের প্রয়োজন হয় । গর্ব অবস্থায়ও আইরনের প্রয়োজন পরে ।তাই যেকোন খাবারের সাথে এই পাতা রাখা উচিত। লেটুস পাতাতে রয়েছে অধিক পরিমাণে ভিটামিন বি তাই আমাদের সকলের উচিত নিয়মিত খাদ্য তালিকায় লেটুস পাতা রাখা । লেটুস পাতা খুশকির বিরুদ্ধেও দারুন কাজ করে । যদি শ্যাম্পুতে লেটুসপাতা বেটে কিংবা গুড়া করে তুলে ব্যবহার করা হয় তাহলে খুশকি রোধ করা যেতে পারে ।

চলুন জেনে নেই লেটুস পাতার কিছু উপকারিতাঃ

  1. ত্বক কেটে গেলে ব্যথা কমায়
  2. হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে
  3. ক্ষয় রোধ করে
  4. হাড়ের মেটাবলিজম বাড়ায়
  5. হৃদপিণ্ড সুস্থ সবল রাখে
  6. রক্ত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে
  7. চোখের ইনফেকশন কমায়
  8. ত্বক সুস্থ রাখে
  9. বয়সের ছাপ কমায়
  10. মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে


লেটুস পাতার অপকারিতা

লেটুস পাতার ক্ষতিকর দিক থেকে এর উপকারিতা দিকটি বেশি পরিলক্ষিত । তবে লেটুস পাতার ক্ষেত্রে এর কিছু অপকারিতা দিক পাওয়া যায় । কিছু ব্যক্তিদের জন্য লেটুস পাতা খাওয়া উচিত নয় । চলুন জেনে নেই লেটুস পাতার কিছু অপকারিতাঃ

  1. অতিরিক্ত পরিমাণে লেটু পাতা খেলে মাথা ঘোরার সম্ভাবনা থাকতে পারে। তাই সীমা অনুযায়ী লেটুস পাতা খেতে হবে।
  2. যাদের লেটুস পাতায় এলার্জি তাদের লেটেস্ট পাতা না খাওয়াই উচিত । যদি তারা খেয়ে থাকে তাহলে তাদের শরীরে এলার্জি পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে ।
  3. যারা অতিরিক্ত পরিমাণে লেটুস পাতা খেয়ে থাকে তাদের শরীরে ঘামে পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে ।

লেটুস পাতা খেলে কি হয়

যারা নিয়মিত লেটুস পাতা খেয়ে থাকে তারা গ্যাস হওয়া, ক্ষুধা না লাগা  এই সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারে । এটি মানব দেহকে কর্মক্ষম রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। যে কোন ক্ষতস্থানের ব্যাথার রোধ করে থাকে । লেটুস পাতায় খুব অল্প পরিমানে প্রোটিন থাকলেও প্রতিদিন খাবারের যদি পাতা খাওয়া যেতে পারে তাহলে এই প্রোটিন দেহের পেশি গঠনে মূল ভূমিকা রাখে। চোখে ইনফেকশন জনিত সমস্যার সমাধান করতে লেটুস পাতা গুরুত্বপূর্ণ । অল্প পরিমাণে পানি নিয়ে সেই পানিতে লেটুস পাতা কিছু ফুটিয়ে রাখলে এবং সেই  ঠাণ্ডা পানি  চোখে দিলে চোখ ওঠার ক্ষেত্রে ঔষধি হিসেবে কাজ করে।

নিয়মিত ক্যালসিয়াম পেতে লেটু পাতা খাওয়া উচিত। কারণ লেটুস পাতাতে রয়েছে পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা হাড় এবং দাঁত গঠন করতে সাহায্য করে । আপনারা চাইলে অন্যান্য ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবারের সঙ্গে লেটুস পাতা রাখতে পারেন। অনেক সময় ধরে যদি রোদে থাকা হয় তাহলে ত্বকে এক ধরনের পোড়া কালচে  ভাব সৃষ্টি হয় ।এই পাতা  বেটে মুখে দিলে এক্ষেত্রে উপকার পাওয়া যায় ।

 রক্তে পটাশিয়ামের পরিমাণ অতিমাত্রায় কমে গেলে হার্ট এটাকের সম্ভাবনা থাকে । লেটুস পাতাতে যথেষ্ট পরিমাণে পটাশিয়াম পাওয়া যায়। যা হার্টের জন্য অনেক ভালো । এটি শরীরের ইনফ্লামেশন কমাতে সাহায্য করে ।এতে রয়েছে ফাইবার যা হজম সমস্যা দূর করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং কোলেস্টেরন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ।

লেটুস পাতা খাওয়ার সঠিক নিয়ম

বর্তমানে লেটুস পাতা নিত্যদিন নানা ভাবে মানুষ খেয়ে থাকে । কখনো সালাদে কখনো বার্গারের সাথে। অনেকে নানা রকম রান্নাতেও ব্যবহার ‍করে ।লেটুস  পাতা শুধু  স্‌বাস্‌থের জন্য নয়, এটি উপকার করে নানা রকম চিকিৎসায় এবং রূপচর্চাতেও। লেটুসপাতা সালাতে সিমের বিচীর সঙ্গে ব্যবহার করলে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়।এটি একটি সুষম জাতীয় খাদ্য ।

লেটুসপাতা স্বাস্থ্যসম্মত ভাবেও খাওয়া যায় । যেমনঃ এটি রান্না করে খেলে কিংবা খাবারের সঙ্গে যে কোন একটি সালাদের আইটেম করে খেলে এর গুনাগত মান ঠিক থাকে । এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সুপ,   অমলেট কিংবা কাঁচা খেলে এটি তার গুণাগতমান ধরে রাখতে সক্ষম হয় এবং শরীরের বিভিন্ন চাহিদা সঠিক ভাবে পূরণ করতে পারে । তবে চেষ্টা করতে হবে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে লেটুস পাতা খাওয়া । কারণ এটি আমাদের শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে ।

শেষ কথা

লেটুস পাতাতে রয়েছে নানা রকম পুষ্টিগুণ । এটি আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ , ক্ষয় পূরণ ও বৃদ্ধি সাধন করতে সাহায্য করে । এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা লেটুস পাতা খেলে কি হয় , এর উপকারিতা , অপকারিতা এবং লেটুস পাতা খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জেনেছি ।আমাদের উচিত এই  সুষম  খাদ্য প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় রাখা ।এই রকম আরো পোস্ট পেতে আমার সাথে থাকুন ।শেষ সময় ধরে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিম ব্লগার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪